প্রশ্ন
অন্ধকারে নামায পড়লে তো সেজদার স্থান দৃষ্টিগোচর হয় না। জানতে চাচ্ছি, এ কারণে কি অন্ধকারে নামায পড়া মাকরূহ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কিবলা নির্ণয়ে যদি সমস্যা না হয় তাহলে অন্ধকারে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا قَالَتْ وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ
‘রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সামনে ঘুমাতাম, আমার পা দু’খানা তাঁর কিবলার দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা দু’খানা গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা দু’খানা প্রসারিত করতাম। তিনি বলেন, সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৮২]
আর নামাযে সেজদার স্থানে তাকানো জরুরি কোনো বিষয় নয়। বরং সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ مَا خَلَفَ بَصَرُهُ مَوْضِعَ سُجُودِهِ حَتَّى خَرَجَ مِنْهَا
‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাবায় প্রবেশ করতেন তখন তাঁর দৃষ্টি নামাজ হতে বের না হওয়া পর্যন্ত তার সেজদার স্থলেই রাখতেন।’ [সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ৩০১২]
কাজেই সেজদার স্থান দৃষ্টিগোচর না হলেও নামায মাকরূহ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/22283/article-details.html