প্রশ্ন
অনেককে দেখা যায়, কারও কোনো ভুল পেলে কর্কশ ভাষায় জানমানুষের সামনে ভুল ধরে বসে। ইসলাম এ ব্যাপারে কী বলে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ভুলের সংশোধনের ক্ষেত্রে কর্কশ ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। যার ভুল ধরা হবে সে যতই খারাপ ব্যক্তি হোক না কেন, তার সাথে কিছুতেই রূঢ় আচরণ করা যাবে না। এতে ভুলকারী ব্যক্তি লজ্জিত হবে। এবং হক গ্রহণ করতে তার অন্তর প্রস্তুত হবে না। প্রভুত্ব দাবীকারী ফেরাউন নিকৃষ্ট ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) কে তার সাথে নম্র আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সুতরাং কারও ভুল ধরার ক্ষেত্রে অবশ্যই নরম ভাষা ব্যবহার করা চাই।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
فَبِمَا رَحۡمَۃٍ مِّنَ اللّٰہِ لِنۡتَ لَہُمۡ ۚ وَ لَوۡ کُنۡتَ فَظًّا غَلِیۡظَ الۡقَلۡبِ لَانۡفَضُّوۡا مِنۡ حَوۡلِکَ ۪ فَاعۡفُ عَنۡہُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَہُمۡ وَ شَاوِرۡہُمۡ فِی الۡاَمۡرِ
‘অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে। আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা কর এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরার্মশ কর।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
فَقُوۡلَا لَہٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّہٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی
‘তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে। হয়তবা সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।’ [সূরা ত্বহা, আয়াত: ৪৪]
অবশ্য স্বাভাবিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করার পরও কেউ যদি হঠকারিতা করে তাহলে প্রয়োজনে ক্ষেত্রবিশেষ কঠোর ভাষাও ব্যবহার করা যাবে। এমনকি কখনো কখনো তো কঠোর আচরণই করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4575/article-details.html