প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় ১৯৯২ সালে দুই দাগ জমি মসজিদ-মাদরাসার জন্য ওয়াক্ফ করা হয়। কিন্তু মসজিদ ও মাদরাসার জন্য পৃথকভাবে জমির দাগ ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে সাথে সাথে ওয়াকফকারীগণ ও গ্রামবাসী সকলে মিলে এক দাগে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। সেখানে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও জুমার নামায আদায় করা হয়। পরবর্তীতে জায়গাটি যমুনা নদীতে ভেঙ্গে যায়। তারপর আবার ২০০১ বা ২০০২ সালের দিকে জায়গাটি উঠে যায় এবং সেখানে কিছু বসতি স্থাপন হয়। তারা যেই দাগে পূর্বে মসজিদ ছিল তা নিচু থাকাতে অপর দাগে একটি টিনের ঘর উঠিয়ে নামায ও জুমা পড়তে থাকে এবং পূর্বের মসজিদের কিছু জায়গায় টয়লেট বানানো হয়। বর্তমানে এলাকাবাসী একটি পাকা মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এখন জানার বিষয় হল, এমতাবস্থায় পাকা মসজিদ কোথায় নির্মাণ করবে, পূর্বের মসজিদের জায়গায়, না বর্তমান মসজিদের জায়গায় এবং টয়লেটগুলোর হুকুম কী হবে? শরীয়তের দৃষ্টিতে বিস্তারিত বিধান জানিয়ে আমাদেরকে বাধিত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ওয়াকফকারী মসজিদের জন্য পৃথকভাবে দাগ ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করে না দিলেও পরবর্তীতে যেহেতু উক্ত দুই দাগের এক দাগে মসজিদ নির্মিত হয়েছে এবং এরপর তাতে নামায পড়া হয়েছে তাই এ জায়গাটিই মসজিদের জন্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং নদী থেকে জেগে ওঠার পরও সেটি মসজিদের জন্যই নির্ধারিত থাকবে। তা মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
অতএব, এখন আপনাদের করণীয় হল, উক্ত জায়গায় নির্মিত টয়লেট ভেঙ্গে তাতে পুনরায় মসজিদ নির্মাণ করা। আর বর্তমানে যে জায়গায় ঘর বানিয়ে অস্থায়ীভাবে নামায পড়া হচ্ছে সেটি অস্থায়ী নামায ঘর হিসাবে ধর্তব্য হবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৯/১২৪; আলমাবসূত, সারাখসী ১২/৩৪; আলইসআফ ফী আহকামিল আওকাফ পৃ. ৭১-৭২; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=29560&preview=true