প্রশ্ন
আমাদের গ্রামে প্রচলিত, ঋণ নিয়ে এভাবে মৌখিকভাবে বলে, এত টাকা বিনিময়ে আপনার কাছে এত মন ধান বিক্রি করলাম। ধানের মৌসুমে ধান মূল্য দিয়ে দিব। এক্ষেত্রে ধানের মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যেন তা ঋণের পরিমাণের চেয়ে বেশি হয়। জানতে চাচ্ছি, এভাবে চুক্তি কি বৈধ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নে উল্লেখিত চুক্তিটি সুদ গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি কৌশল মাত্র। কারণ ঋণদাতা ও গ্রহীতা প্রত্যেকেই জানে যে, এখানে ধান মুখ্য নয়। বরং অতিরিক্ত গ্রহণ করাটাই মূল। আর ফাযালাহ ইবুন উবাইদ (রা.) বলেন-
كُلُّ قَرْضٍ جَرَّ مَنْفَعَةً فَهُوَ وَجْهٌ مِنْ وُجُوهِ الرِّبَا
‘যে ঋণ থেকে ঋণদাতা উপকৃত হয় তা সুদের একটি প্রকার।’ [সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস: ১১২৫২]
সুতরাং এ জাতীয় চুক্তি বৈধ হবে না।
বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/26835/article-details.html