প্রশ্ন
বিমানে কি ইশারা করেই নামাজ পড়তে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নামাজের সময় হলে বিমানেও নামাজ পড়তে হয়। কারণ নামাজ মুসলমানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ فَإِذَا اطْمَأْنَنْتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا
‘অতঃপর যখন তোমরা নামাজ পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে তখন নামাজ (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩]
বিমানে ইশারা করেই নামাজ পড়তে হবে- বিষয়টি এমন নয়। বরং বিমানে নামাজ পড়ার পদ্ধতি হল, কিবলা নির্ণয় করে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বে। যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া সম্ভব না হয় তাহলে বসে নামাজ আদায় করবে।
আর যদি বসারও কোনো সুযোগ না থাকে তাহলে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় ইশারায় নামাজ পড়ে নিবে। পরবর্তীতে বিমান থেকে নেমে সেই নামাজের কাযা করে নিবে।
আদ্দুররুল মুখতার ২/১০১; কিতাবুল ফিকহ ১/২০৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20279/article-details.html