প্রশ্ন
আমার একটি গুনাহ বারবার হয়ে যাচ্ছে। আমি দৃঢ় সংকল্প করি যে, আর গুনাহ করব না। কিন্তু তারপরও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনাহ হয়ে যায়। জানতে চাচ্ছি, গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
গুনাহ যতই বড় হোক খাঁটি মনে তওবা করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
একটি হাদিসে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘এক বান্দা গুনাহ করে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার গুনাহ ক্ষমা করে দাও। তারপর আল্লাহ তাআলা বললেন, আমার বান্দা গুনাহ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন প্রতিপালক আছে, যিনি গুনাহ ক্ষমা করেন এবং গুনাহের কারণে পাকড়াও করেন। এ কথা বলার পর সে পুনরায় গুনাহ করল এবং বলল, হে আমার মনিব! আমার গুনাহ মাফ করে দাও। এরপর আল্লাহ তাআলা বললেন, আমার এক বান্দা গুনাহ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন প্রতিপালক আছে যিনি গুনাহ মাফ করেন এবং গুনাহের কারণে পাকড়াও করেন। তারপর সে আবারও গুনাহ করে বলল, হে আমার রব! আমার গুনাহ ক্ষমা করে দাও। একথা শুনে আল্লাহ তাআলা আবারও বলেন, আমার বান্দা গুনাহ করেছে এবং সে জানে যে তার একজন মালিক আছে, যিনি বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন এবং গুনাহের কারণে পাকড়াও করেন। তারপর আল্লাহ তাআলা বলেন, হে বান্দা! এখন যা ইচ্ছা তুমি আমল কর। আমি তোমার গুনাহ মাফে করে দিয়েছি।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৭৫৮]
কাজেই আপনার কাজ হল বারবার তওবা করে যাওয়া এবং যে অবস্থায় থাকলে গুনাহ হয় তা পরিহার করা। কোনো আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সোহবতে থাকা। এতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা আপনার জন্য সহজ হবে। পাশাপাশি নিম্নোক্ত কাজগুলো করা চেষ্টা করবেন। ইমাম নববি (রহ.) বলেন,
১। পাপ কাজ সম্পূর্ণরূপে বর্জণ করতে হবে।
২। পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ায় অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩। ঐ পাপ কাজ আগামীতে পূণর্বার না করার দৃঢ়সংকল্প থাকতে হবে। [রিয়াজুস সালেহিন পৃ: ৩৩]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20171/article-details.html